Wednesday 6 January 2016

নৃগোষ্ঠী/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা

বর্তমান নৃগোষ্ঠী শংখাঃ ৪৮

১। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে- চাকমা,মারমা, ত্রিপুরা,ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম,পাংখুয়া,চাক, খ্যাং, খুমি ও লুসেই
২। উত্তর- পূর্বাংশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বাস করে- গারো,হাজং,কোচ এবং বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে খাসিয়া ও মণিপুরি
৩। উত্তর-পূর্বাংশে দিনাজপুর,রংপুর,রাজশাহী, বগুড়া,পাবনা প্রভৃতি অঞ্চলে বাস করে সাঁওতাল, ওরাও,মাহালি, মুন্ডা,মাল পহাড়ি,মালো প্রভৃতি।
৪। চাকমাঃ
* মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক
* ত্রিপুরা,মিজোরাম ও অরূণাচলে বসবাস রয়েছে
* সমাজে মূল অংশ পরিবার, কতকগুলো পরিবার নিয়ে গঠিত হয় আদাম বা পাড়া, কতগুলো পাড়া নিয়ে মৌজা, কতগুলো মৌজা নিয়ে চাকমা সার্কেল। মৌজার প্রধানকে হেডম্যান ও সার্কেলের প্রধানকে চাকমা রাজা বলে।
* চাকমা সমাজ পিতৃসূত্রীয়
* চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এদের কিয়াং বা বৌদ্ধমন্দির রয়েছে।
* চাকমা সমাজে মৃতদেহ দাহ করা হয়।
* চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তবে প্রিয় খাদ্য বাশ কোড়ল
* চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব বিজু
৫। গারোঃ
* আদি বাসস্থান তিব্বত
*ভারতের মেঘালয়ে এদের বসবাস রয়েছে
* মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক
* নিজেদেরকে মান্দি নামে পরিচয় দেয়
* সমাজ মাতৃসূত্রীয়। সর্বকনিষ্ঠা কন্যা সমুদয় সম্পত্তি লাভ করেন।
* গারো সমাজের মূল মহারি। মাতার বংশ ধরেই গোত্র নির্ণয় করা হয়। একই মহারির ছেলে মেয়ের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ।
* গারো সমাজে ৫টি দল রয়েছে।
* আদি ধর্ম সাংসারেক। প্রধান দেবতা তাতারা রাবুকা।
* বর্যমানে অধিকাংশ গারো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী
* মহিলাদের পোশাকের নাম দকমান্দা ও দকশাড়ি। পুরুষদের পোষাকের নাম গান্দো।
* এদের জনপ্রিয় খাদ্য মিউয়া।
* শ্রেষ্ঠ উৎসব ওয়ানগালা
* ভাষা মান্দি খুসিক। নিজস্ব বর্ণমালা নেই। ভাষা তিব্বতীয় - বর্মী গোষ্ঠীর।
৬। সাওত্তালঃ
* অস্ট্রালয়েড জনগোষ্ঠীভুক্ত।
* ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস রয়েছে
* সমাজের মূলভিত্তি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য ৭ জন মাঝি পৌরাণিক রয়েছে।
* সাওতালরা দুইটি ধর্মে বিশ্বাসী। এক অংশ সনাতন হিন্দু ও আরেক অংশে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে।
* সোহরাই ও ফাগুয়া এদের নিজস্ব উৎসব। এছাড়া রয়েছে ঝুমুর নাচ।
* শরীরে উল্কি চিহ্ন ব্যবহার করে
৭। মারমাঃ
* ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে জনসংখ্যার দিক দিয়ে ২য়।
* সমাজের প্রধান বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা
* গ্রামকে রোয়া ও গ্রামের প্রধানকে রোয়াজা বলে।
* এরা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। চন্দ্রঘোনার কাছে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে চিৎমরম বৌদ্ধবিহার মারমাদের নির্মিত।
* পুরুষরা মাথায় গমবং(পাগড়ি বিশেষ) পড়ে। মেয়েদের ব্লাউজকে আঞ্জি বলে।
* এদের বৃহত্তম উৎসব সাংগ্রাই। এসময় পানিখেলা হয়।
৮। রাখাইনঃ
* বরগুনা, পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায় বাস করে।
* রাখাইন শব্দটি রাক্ষাইন থেকে যার অর্থ রক্ষিণশীল জাতি
* মায়ানমারের আরাকান অঞ্চলে এদের আদিবাস ছিল।
* নদীর পাড় ও সমুদ্রের উপকূলের সমতল ভূমিতে বাস করে।
* সর্ববৃহৎ উৎসব সান্দ্রে
* পাগড়ি এদের ঐত্যিহ্যের প্রতীক।
৯। খাসিয়াঃ
* মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর
* সিলেট, তামাবিল, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ প্রভৃতি জেলায় ও ভারতের আসামে বাস করে।
* গ্রামকে পুঞ্জি ও পুঞ্জির প্রধানকে সিয়েম বলে।
* ভাষার কোন লেখ্য রূপ নেই
* মাতৃপ্রধান জনগোষ্ঠী
* মেয়েরা কাজিম পিনা নামে এক ধরনের ব্লাউজ ও পুরুষেরা পকেটহীন জামা ও লুঙ্গি পড়ে

No comments:

Post a Comment