Thursday, 28 January 2016

৩৫তম বিসিএস লিখিত এর প্রবাদ -প্রবচন By Julkar Nain

৩৫তম বিসিএস লিখিত এর প্রবাদ -প্রবচন ছিল স্বরনকালের কঠিন প্রবাদ- প্রবচন। ২-৩ টা কমন পড়া চরম সৌভাগ্যের বিষয়।
আসুন দেখে নেই প্রবাদ- প্রবচন গুলা-
হরি ঘোষের গোয়াল
হরি ঘোষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মুঙ্গের দুর্গের দেওয়ান ছিলেন। তিনি দক্ষ ছিলেন বাংলা, ফার্সি ও ইংরেজিতে। অবসরের পর প্রচুর অর্থ জনহিতকর কাজে ব্যয় করতেন। উত্তর কলকাতায় তার বাড়িতে বহু ছাত্র থাকা খাওয়ার সুযোগ পেত। এছাড়া তার বিশাল বৈঠক খানায় শত শত নিষ্কর্মা লোকও তার উদারতার সুযোগে সেখানে আড্ডা দিত ও খাওয়া দাওয়া করতো। গরুরা যেমন গোয়ালের ভেতর শুয়ে বসে জাবড় কাটে আর 'হাম্বা' ডাক ছাড়ে, এদের অবস্থা হরি ঘোষের বাড়িতে ছিল এরকমই। কোনো বাড়ি বা স্থানে অনেক লোকের হৈ চৈ বা কোলাহল থাকলে তাকে হরি ঘোষের গোয়াল বলা হয়।
//ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে//
সুপ্রাচীনকাল থেকেই জ্বালানি হিসেবে এদেশের গ্রামাঞ্চলে ঘুঁটে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোবরের সাথে কাঠ কয়লার গুঁড়া বা ধানের তুষ মিশিয়ে গোল চাকতির মতো বানিয়ে শুকনো হয় ও পরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ গোবরের অমোঘ পরিণতি হচ্ছে তার থেকে ঘুঁটে হবে এবং সেই ঘুঁটেকে আগুনে পুড়তে হবে। অনেক ব্যক্তি অন্যের দুঃখ কষ্ট দেখে সাময়িক আনন্দ পেলেও তাকেও যে ঐ ধরণের যন্ত্রণা পেতে হতে পারে তা ভাবে না। কারণ সুখ দুঃখ চক্রাকারে আসে। এ ধরণের মানুষের পরিণতি বোঝাতে আলোচ্য প্রবাদের উৎপত্তি।
//চিত্রগুপ্তের খাতা//
সনাতন ধর্ম অনুসারে, চিত্রগুপ্ত হচ্ছেন যমরাজের কেরানি বা হিসাব রক্ষক। তিনি মানুষের জীবনের সব কাজের হিসেব রাখেন। তার কাজে কখনো ভুল হয় না। আর এজন্য মানুষ কোনো কাজ করার আগে ভাবে সে যা করছে তা অদৃশ্য কেউ অর্থাৎ চিত্রগুপ্ত লিখে রাখছেন। অদৃষ্টের লিখন অথবা ভাগ্যের অমোঘ বিধান বোঝাতে চিত্রগুপ্তের খাতা বোঝানো হয়।
//ওঝার ব্যাটা বনগরু//
কোনো জ্ঞানি ব্যক্তির ছেলে যদি মূর্খ হয় তবে তাকে বোঝাতে এ প্রবাদ ব্যবহৃত হয়। ওঝা শবটি এসেছে সংস্কৃত উপাধ্যায় থেকে (উপধ্যায়>উবজঝাঅ>ওঝাঅ>ওঝা)। উপাধ্যায় হচ্ছেন শিক্ষক বা পন্ডিত , এর প্রাকৃত রূপ উবজঝাঅ। তা থেকে এসেছে ওঝা। প্রাচীন ব্রাক্ষণদের মাঝে ওঝা পদবির প্রচলন ছিল, যা দ্বারা জ্ঞানী বোঝাতো। বনগরু এসেছে সংস্কৃত শব্দ গবয় থেকে, যা দ্বারা গলকম্বলহীন গরুর মতো বন্য প্রাণীকে বোঝায়, যারা তেমন কাজে আসে না।
//শিখণ্ডী খাড়া করা//
আড়াল থেকে অন্যায় কাজ করা। যার আড়ালে থেকে এ কাজ করা যায় তাদের বলে শিখণ্ডী। মহাভারতের কাহিনী অনুসারে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন ও ভীষ্মের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ হচ্ছিল। অর্জুন তার সামনে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন শিখণ্ডীকে। শিখণ্ডী সামনে থাকায় ভীষ্ম কোনো অস্ত্র প্রয়োগ করেন নি। ফলে তাকে হত্যা করেন অর্জুন, যা ছিল যুদ্ধনীতির পরিপন্থী ও অন্যায়।
//থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোর//
একই কথার অর্থহীন পুনরাবৃত্তি।

Tuesday, 19 January 2016

লাইন সংক্রান্ত

ব্লু‬ লাইন. 》লেবানন -ইসরাইল
‪‎গ্রিন‬ লাইন. 》ইসরাইল -আরব
‪‎পার্পল‬ লাইন. 》ইসরাইল-সিরিয়া
‪‎কার্জন‬ লাইন. 》পোলান্ড-রাশিয়া
‪‎ফচ‬ লাইন. 》পোলান্ড-লিথুনিয়া
‪‎ওডের‬-নিস লাইন. 》জার্মানি -পোলান্ড
‪‎হিন্ডারবার্গ‬ লাইন. 》জার্মান -পোলান্ড
‪‎ম্যাজিনো‬ লাইন ও সিগফ্রিড লাইন 》জার্মান -ফ্রান্স
সনোরা‬ লাইন. 》মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র
৪৯ তম অক্ষরেখা 》যুক্তরাষ্ট্র -কানাডা
‪‎লাইন‬ অব কন্ট্রোল. 》ভারত-পাকিস্তান
লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল. 》চীন-ভারত
‪‎ম্যাকমোহন‬ লাইন. 》ভারত-চীন
২৪ তম অক্ষরেখা 》ভারত-পাকিস্তান
‪‎ডুরান্ড‬ লাইন. 》আফগানিস্তান-পাকিস্তান
‪‎রাডক্লিফ‬ লাইন. 》ভারত-পাকিস্তান
৩৮ তম অক্ষরেখা 》উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সীমানা রেখা
৩২ তম উত্তর অক্ষরেখা 》ইরাকের দক্ষিণে নো ফ্লাই জোন
৩৬ তম দক্ষিণ অক্ষরেখা 》ইরাকের উত্তরে নো ফ্লাই জোন

৩৬ লিখিত ৩ঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি by Samad Azad [Admin, BCS: Our Goal [Largest Job group of Bangladesh]]

লিখিত প্রস্তুতি :: বাংলাদেশ + আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি

সম্ভাব্য প্রশ্ন :

১। বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর কী? সিল্ক রুট কী? বিসিআইএম এর রুটটি কেমন হবে?
২। বিসিআইএম গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? এটি গঠনের উদ্যোগ ও প্রেক্ষাপট আলোকপাত করুন।
৩। আপনি কী মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোনের একটি হতে যাচ্ছে বিসিআইএম? কীভাবে?
৪। বিসিআইএম বা নয়া সিল্ক রুট এর কৌশলগত গুরুত্ব কী? কেন বাংলাদেশের জন্য বিসিআইএম বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে?
৫। বিসিআইএম গঠনে আশঙ্কা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত এবং করণীয় সম্পর্কে লিখুন।
.
=====================
সম্পর্কিত বিষয় (Related Topics): সিলেবাসে একাধিকবার উল্লেখকৃত ।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি = Economy, Foreign Policy and External Relations (Economic Diplomacy, International Trade).
আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি = International Economic Relations (International trade, Free trade).
আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি = Section C: Problem-solving (Trade)
=====================
কেন প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে হচ্ছে?
* "বাংলাদেশের নির্বাচনকে ভারত সমর্থন দেয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে বিসিআইএম"-এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম আহমেদ যুগান্তরকে বলেন ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪।
* আঞ্চলিক জোট বিসিআইএম নিয়ে ঢাকায় সেমিনার। "অর্থনৈতিক করিডর হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে।"
সুত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ এপ্রিল ২০১৫
* নয়া সিল্ক রুট – খুলে যাচ্ছে সম্ভাবনার দরজা।
সুত্রঃ sonelablog, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ (প্রিলির ঠিক পূর্বে)
* ২০১৫ সালের জুনে ভারতে বিসিআইএম নিয়ে পরবর্তী বৈঠক হবে। (লিখিত এর পূর্বে)
=====================
.
---------------------------------
★ বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর কী?
---------------------------------
বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট হলো বিসিআইএম। নতুন এ উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণাটি বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার’ (বিসিআইএম) নামেই অধিক পরিচিত।
.
বিসিআইএম করিডর একটি মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি। বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে কানেকটিভিটি।এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এ করিডর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ছাড়াও চার দেশের মানুষের মধ্যে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করবে।
.
গত বছরের ডিসেম্বরে চারটি দেশের প্রতিনিধিরা চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে মিলিত হয়ে এ ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করে।প্রস্তাবিত বিসিআইএম করিডরটির আওতায় চীনের ইউনান প্রদেশ, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ভারতের সাড়ে ১৬ লাখ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই অঞ্চলের ৪৪ কোটি মানুষের পাশাপাশি থাকবে সড়ক, জল এবং আকাশ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর বিসিআইএম-এর বিষয়ে একমত হয়ে এ সংক্রান্ত এক চুক্তিপত্রে সই করেছে ওই চারটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা। ২০১৫ সালের জুনে ভারতে পরবর্তী বৈঠকে বিসিআইএম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে এবং এবারের আলোচনা সিদ্ধান্ত আকারে রূপ নেবে।
.
---------------------------------
★ সিল্ক রুট কী?
---------------------------------
কানেকটিভিটির মাধ্যমে এশিয়ার এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে সওদাগররা উপমহাদেশে এক সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। মধ্য এশিয়া থেকে উপমহাদেশ হয়ে চীন পর্যন্ত বাণিজ্য বিস্তৃত ছিল। তখন এ রুটে পণ্য বলতে সিল্কের আনাগোনা ছিল। সে কারণে মধ্য এশিয়া থেকে উপমহাদেশ হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ রুট ইতিহাসে সিল্ক রুট’ নামে পরিচিত।
.
---------------------------------
★ উদ্যোগ ও প্রেক্ষাপট?
---------------------------------
১৯৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার দুই হাজার বছরের পুরনো সিল্ক রুট চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মিয়ানমার ও চীনের রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতেই তখন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পরে নানা কারণে সে উদ্যোগ থেমে গেলেও ১৯৯৯ সালে চীনের নেতৃত্বে আবারো সিল্ক রুট চালুর উদ্যোগ নেয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। আর এটি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য কক্সবাজার, টেকনাফ হয়ে মিয়ানমারের আকিয়াব, মান্ডালায়ে হয়ে তা কুনমিং পর্যন্ত পৌঁছানোই হল এ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। এর জের ধরেই বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ গঠন করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও চীন।২০১৩ সালের মে মাসে বিসিআইএমের আওতায় ইকোনমিক করিডোর গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
.
---------------------------------
★ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?
---------------------------------
১। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চার অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে 'প্রধান টার্গেট' ধরে আলোচনা হয়েছে।
২। চার দেশের মানুষের মধ্যে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করবে।
৩। ছাড়াও গঠনের উদ্দেশের মধ্যে রয়েছে - জ্বালানি সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বাণিজ্য সহজীকরণ, শুল্ক কমানো, নন-ট্যারিফ বাধা দূর, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়, দারিদ্র্য বিমোচন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
.
---------------------------------
★ এর রুটটি কেমন হবে?
---------------------------------
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে আলোচনার সময়ই মূলত রুটটি ঠিক করা হয়। চারটি দেশই রুটটির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। রুটটি হল- চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের রাজধানী কুনমিং থেকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম হয়ে ভারতের কলকাতা। রুট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে কলকাতা থেকে যশোরের বেনাপোল হয়ে ঢাকা। এরপর সিলেট হয়ে শিলচর, ইমপাল-কা-লে-মান্দালাই-রুইলি, তেংচং-ইরাই লেক, ডালি হয়ে কুনমিং গিয়ে শেষ হবে।
.
---------------------------------
★ বিসিআইএমে রফতানির জন্য ১৫টি পণ্য শনাক্ত:
---------------------------------
বিসিআইএম অঞ্চলে রফতানির জন্য ১৫টি পণ্যকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রয়েছে শস্যকণা, চামড়া, শুকনা খাবার, ছাগলের মাংস, হস্তশিল্প, সিনথেটিক ফেব্রিক্স। এটি মূলত চীনের বাজারে রফতানির জন্য শনাক্ত করা হয়। পাশাপাশি ভারতের বাজারের জন্য শনাক্ত করা হয়, এন হাইড্রোঅক্সাইড অ্যামোনিয়া, লিড এসিড, সবজি, পাট, টেক্সটাইল পণ্য।
.
---------------------------------
★ বিসিআইএম বা নয়া সিল্ক রুট এর কৌশলগত গুরুত্ব কী?
---------------------------------
কালের পরিক্রমায় রাজনৈতিক বিবর্তনে সিল্ক রুট এখন নেই। তবে এশিয়ায় চীনের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উত্থানে এবং ভারতে পুঁজি বিকাশের ধারায় সেই সিল্ক রুট নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। মন্দায় আক্রান্ত বিশ্বে এশিয়াকেই আগামীর অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে সিল্ক রুট নিয়ে চীনের অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে পশ্চিমারা সরাসরি যুক্ত না হলেও নতুন সিল্ক রুটের ধারণা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে কানেকটিভি জোরদারে এ উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিপুল কৌতুহলী। যুক্তরাষ্ট্রও উদ্যোগটিকে সমর্থন জানিয়েছে।
.
ঐতিহাসিক সিল্ক রুট কিংবা নতুন সিল্ক রুট যাই বলা হোক না কেন- বৃহত্তর ক্যানভাসে বিবেচনা করলে বিসিআইএমকে ওই কানেকটিভিটির অংশ বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, ভারত যেভাবে তার এক অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে পণ্য নিতে বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট চাইছে তারও অনেকখানি পূরণ হবে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডরে।
.
চীনের ইউনান প্রদেশের উন্নয়নে এ উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিকল্প নেই প্রদেশটির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ বিপুল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিযুক্ত রাখতে পারে না। এ বিবেচনায় বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডরের বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে চীন ও ভারতের মতো অর্থনৈতিক শক্তির ভূমিকা এ অঞ্চলের দেশগুলোর বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে থাকে। তাই দুই বড় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগ দিয়ে তার অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে অধিক তথ্য ও জ্ঞান আহরণকে বাংলাদেশ যৌক্তিক মনে করছে।
.
---------------------------------
★ বিশ্বের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোন - সিল্ক রুট:
---------------------------------
১। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশেরই বাস এই চার দেশে। বিসিআইএম দেশগুলোতে দুই দশমিক আট বিলিয়ন জনগোষ্ঠী বসবাস করছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশই কর্মক্ষম।
২। চার দেশের মোট জিডিপি ৫.৭ ট্রিলিয়ন, যা বৈশ্বিক জিডিপির ১০ শতাংশ। অর্থনীতির আকার ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৩। চার দেশেই প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। রয়েছে পানি ও জ্বালানি সম্পদ।
৪। এ ছাড়া প্রতিটি দেশেরই আলাদ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- সেবা খাতে বাংলাদেশ ও ভারত অনেক সমৃদ্ধশালী। শিল্পে এগিয়ে চীন। কৃষিতে মিয়ানমার। তাই অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে এক দেশের সম্পদ বা প্রযুক্তি অন্য দেশ ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে পারবে।
.
---------------------------------
★ ৪ টি দেশ কী সুবিধা পাবে ?
---------------------------------
পর্যালোচনা করে দেখা যায় 'এ করিডোর তার রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক'। যদিও এখানে কারো অর্থনৈতিক লাভ বেশি কারো কম। বিসিআইএম করিডরের মাধ্যমে ভারত ও চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। এর মাধ্যমে এ দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতিও কমবে। এত দিন যেসব সমস্যা দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হতো না, এখন সেগুলো আঞ্চলিক পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব হবে।
.
১। চার দেশে সাড়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য বৃদ্ধি:
চার দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুবই কম। অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে বাণিজ্য সহজীকরণ ও দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। বিসিআইএম হলে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মায়ানমারের মধ্যে ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। যদি সব দেশের বাণিজ্যনীতি উদারীকরণ হয়। পাশাপাশি বাণিজ্যনীতি পরিমিত উদারীকরণ হলে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এবং আংশিক উদারীকরণ হলে বাণিজ্য বাড়বে ২৭০ কোটি ডলার। ওই স্টাডিতে বলা হয়, বিসিআইএম হলে বিসিআইএমের বাইরে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য তৈরি হবে সর্বোচ্চ ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার এবং সর্বনিু ১৮০ কোটি ডলারের।
২। অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। এর সুবিধা পাবে চার দেশই। রেল, নৌ, সড়ক ও আকাশ পথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে।
৩। বিসিআইএমের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়বে।
৪। এতে গভীর সমুদ্র বন্দরের উপযোগিতা বহুলাংশে আরও বাড়বে।
৫। বিদ্যুত উত্পাদনের জন্য নদী ও জলপ্রপাত ব্যবহার বাড়বে।
৬। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
৭। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমনে চার দেশ একই প্রযুক্তি ব্যবহার বা আদান-প্রদান করতে পারবে।
৮। একই সঙ্গে আইটি এবং বিনোদনেও পরিবর্তন আসবে।
৯। অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে শিক্ষা, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলা একাডেমিক শিক্ষা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
১০। অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে চার দেশেরই জীবনযাত্রার মান বাড়বে।
১১। কৃষি, সেচ, প্রযুক্তি লেনদেন, শিল্প পার্ক দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করবে।
১২। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও ময়লা শোধানাগার নির্মাণ, সুপেয় পানির ব্যবহারও বাড়বে।
১৩। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়বে।
১৪। একই সঙ্গে পর্যটন খাতও বিকশিত হবে।
১৫। চারটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণ করা হলে আমদানি ও রফতানি ব্যয় কমবে।
.
---------------------------------
★ কেন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ?
---------------------------------
১। প্রতিষ্ঠার পর ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সার্ক, সাফটা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এগুলো আমাদের ইচ্ছা অনুসারে মুভ করছে না। এসব যদি কার্যকর হতো তাহলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রপ্তানি আরও অনেক বেশি হতো। আরেক জোট বিমসটেকেরও করুণ দশা। বিসিআইএমের ওপর তাই অনেক কিছু নির্ভর করছে।
২। বিসিআইএম কার্যকর হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরো অনেক বেড়ে যাবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে। বিসিআইএম বাস্তবায়নের ফলে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে।
৩। বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তিতে চীনের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির কারণেই এ দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য রয়েছে। ঘাটতি কমাতে ভারত ও চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। বিসিআইএম কার্যকর হলে এ বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
৪। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ চীনকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশে চীনের শিল্প খাতে বিনিয়োগ অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
৫। বাংলাদেশ চীন ও ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও মিয়ানমার থেকে পায় না। সে কারণে সে দেশে আমাদের রপ্তানিও সামান্য।শুল্ক বাধা দূর হলে বাণিজ্যও বাড়বে।এই করিডর হলে মিয়ানমারেও রপ্তানি বাড়বে।
৬। বিসিআইএম হলে ভারত-চীনের পর্যটকেরা এ দেশে আরও বেশি আসবে।
বিসিআইএম নিয়ে গবেষণাকারী সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে জানান, বিসিআইএমের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হলে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে।চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাংলাদেশের নানা উদ্যোগ থাকবে। এসব এলাকার উন্নয়নও হবে ব্যাপক। অর্থনীতিও পরিবর্তন হবে।
.
বিসিআইএম প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, চার দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাত সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি দেশে মানবসম্পদ বাড়বে। তাঁর মতে, এই জোটের মধ্য দিয়ে একটি বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এতে সড়ক, রেল, নৌ, বিমানসহ সব খাতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে।
.
বিসিআইএমের মাধ্যমে শুধু পরিবহন যোগাযোগই বাড়বে না, বিনিয়োগও আসবে। এই অঞ্চলে নতুন পর্যটন স্থান গড়ে উঠবে। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আঞ্চলিক সরবরাহব্যবস্থায় যুক্ত করবে। তবে এই করিডরের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার নতুন জোট গড়ে সুফল পেতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডর চালুর জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
.
---------------------------------
★ বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে?
---------------------------------
১। সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ:
বিসিআইএমে অন্তর্ভুক্ত হলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৭০ কোটি মার্কিন ডলার (দেশীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা) এবং সর্বনিু ৪০ কোটি ডলারের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করবে। বিসিআইএম নিয়ে এশীয় প্যাসিফিক রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং নেটওয়ার্ক অন ট্রেডের গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই আর্থিক সুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সংস্থাটি বিসিআইএম হলে কোন দেশ কি সুবিধা পাবে তার ওপর একটি স্টাডি করেছে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে- চারটি দেশের মধ্যে যদি বাণিজ্যনীতি আংশিক উদারীকরণ করে তাহলে সর্বনিু ৩ হাজার ১২০ কোটি টাকার শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশ।তবে, যে দেশের অর্থনীতির আকার বড় ওই দেশ এই শুল্ক সুবিধা বেশি ভোগ করতে পারবে।
২। বিসিআইএম কার্যকর হলে চীন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
৩। বাংলাদেশের রাজস্ব আয় কমবে না:
বিসিআইএমে অন্তর্ভুক্ত হলে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হারাবে ভারত। অপর দিকে বাংলাদেশের কোনো রাজস্ব ক্ষতি হবে না। বিসিআইএমের অপর তিনটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব সুবিধা দিতে গিয়ে ভারতের রাজস্ব বর্তমান আয়ের চেয়ে ৫৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। এটি সর্বনিু ৩৬ শতাংশ হতে পারে। অপর দিকে চীনের রাজস্ব কমবে ৫৭ শতাংশ, মিয়ানমারের ৫৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ বিসিআইএমে সম্পৃক্ততার পর যে বাণিজ্য সুবিধা পাবে বিপরীতে যা রাজস্ব আয় কমবে উভয় মিলে সমান থাকবে। ফলে বাংলাদেশের কোনো রাজস্ব ক্ষতি হবে না।
৪। কল্যাণমূলক আর্থিক সুবিধায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ:
চারটি দেশের মধ্যে কল্যাণমূলক সুবিধার দ্বিতীয় স্থানে থাকছে বাংলাদেশ। বিসিআইএমের মধ্যে কল্যাণমূলক সুবিধা ভোগ করবে ভারত। আর্থিক দিক থেকে এই সুবিধার মূল্যমান হচ্ছে প্রায় ২৭ কোটি মার্কিন ডলার। সবচেয়ে কম সুবিধা পাবে মিয়ানমার। তাদের ক্ষেত্রে কল্যাণমূলক সুবিধার আর্থিক মূল্য হচ্ছে ৫০ লাখ ডলার। তবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ কল্যাণমূলক আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে ৭ কোটি মার্কিন ডলারের।
৫। চীন ও ভারত থেকে বছরে ১১০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করতে হয়। এসব পণ্য আমদানিতে পরিবহন ব্যয় বড় বিষয়। বিসিআইএমের ফলে পরিবহন ব্যয় অনেক হ্রাস পাবে।
৬। শুল্কের চেয়ে অশুল্ক বাধা বেশি। ফলে বাণিজ্য সহজীকরণ করা হলে অশুল্ক বাধাগুলো দূর হবে।
৭। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে এর অবকাঠামো ব্যবহার করা যাবে বিসিআইমের মাধ্যমে।
৮। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যটন, বিদ্যুত ও গ্যাসের সুবিধা বাংলাদেশ পাবে।
.
---------------------------------
★ বিসিআইএম নিয়ে সরকারের গবেষণাপত্র: অর্থনৈতিক Hub হবে বাংলাদেশ
---------------------------------
চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বহুল আলোচিত অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে বদলে যাবে বাংলাদেশের চেহারা। বিকাশমান দুই দেশ ভারত ও চীনের সংস্পর্শে সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব দিকেই লাভবান হবে দেশ। বিকশিত হবে এই দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। কমবে দারিদ্র্যের হার, সমৃদ্ধ হবে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য। দূর হবে বাণিজ্য বাধা। তিন দেশ থেকেই পাওয়া যাবে জ্বালানি সহযোগিতা। ভৌগোলিক কারণে অন্য তিন দেশ থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। বিসিআইএম নিয়ে তৈরি করা সরকারের এক ধারণাপত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
.
গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থনৈতিক করিডর চালু হলে জোটভুক্ত চার দেশেই ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার বাড়বে। আর জ্বালানি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বড় আকারে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আনতে পারবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
.
---------------------------------
★ আশঙ্কা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত:
---------------------------------
বিসিআইএম এর ভবিষ্য নির্ভর করছে চীনের ওপর। বিসিআইএম হলে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া যুক্ত হতে পারবে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তানও যুক্ত হবে।
.
বিসিআইএম নিয়ে তৈরি করা সরকারের এক ধারণাপত্রে কিছু আশঙ্কা এবং উদ্বেগের কথাও আছে। এতে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত এই চার দেশের মধ্যে ভারত ও চীন প্রতিযোগী দেশ। উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে বিকাশমান। আগামী বিশ থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে ভারত ও চীন হবে বিশ্বের পরাক্রমশালী দুটি দেশ। তাই স্বাভাবিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই থেকেই যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেও দ্বিপক্ষীয় জটিলতা রয়েছে। রোহিঙ্গা এখনো অমীমাংসিত ইস্যু। এসব জটিলতা উতরাতে পারলে আশিয়ান ও ব্রিকসের মতো বিসিআইএম শক্তিশালী জোট হবে বলে ধারণাপত্রে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
.
---------------------------------
★ প্রতিবন্ধকতা:
---------------------------------
তবে এই করিডর চালু হওয়ার পথে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। এর মধ্যে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা, দুর্বল বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা এবং প্রথাগত জটিলতা অন্যতম। এ ছাড়া মুদ্রা বিনিময় এবং চার দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা নিয়েও জটিলতা আছে।
.
---------------------------------
★ করণীয়?
---------------------------------
চারটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে পরিবহনব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। ইতিমধ্যে সড়ক পথের রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। রেল ও নৌপথের রুট চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিসিআইএমকে কার্যকর করতে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো গতিশীলভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া, অশুল্ক বাধা দূর করা, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
.
---------------------------------
★ উপসংহার:
---------------------------------
আমরা এখন অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের মধ্যে আছি। আমরা যত বেশি দেশের সঙ্গে একত্রে থাকতে পারব, তত উন্নতি করব। বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর কার্যকর হলে লাভবান হবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি বাড়বে। এ জন্য বিসিআইএমকে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।




Sunday, 17 January 2016

:::::::::::PDF CORNER:::::::::::

Board Books


Class 6 Mathematics (Bangla) http://www.mediafire.com/file/rbf68mzn0f9ukn0/Mathematics+%28Six%29.pdf

Class 7 Mathematics (Bangla) http://www.mediafire.com/file/171p4idmn2xyod5/Mathematics+%28Seven%29.pdf

Bangladesh o Bissho Porichoy http://www.mediafire.com/file/bnujon5yosdq1vb/Bangladesh+o+Bissho+Porichoy+%28Class+7%29.pdf

Class 8 Mathematics (Bangla) http://www.mediafire.com/file/5i67nz8wjx42her/Mathematics+%28Eight%29.pdf

Bangladesh o Bissho Porichoy http://www.mediafire.com/file/nnbc14d0bg1c6yu/Bangladesh+o+Bissho+Porichoy+%28Class+8%29.pdf

Class 9-10

Bangla Shahitto Shongkolon http://www.mediafire.com/file/gdshl4q9bcqs8jz/Bangla+Shahitto+Shongkolon+%289-10%29.pdf

Maddhomik Bangla Bakoron http://www.mediafire.com/file/9ewqg6clcrh661g/Maddhomik+Bangla+Bakoron.pdf

Rochona Shombhar http://www.mediafire.com/file/ao72vj6pjm4f95q/Rochona+Shombhar.pdf

English Grammar and Composition http://www.mediafire.com/file/06i9r10uabpb0yv/English+Grammar+and+Composition+%28Class+9-10%29.pdf
Higher Math http://www.mediafire.com/file/ti0kw1jv97t6b9e/Ucchotoro+Gonit+%28Class+9-10%29.pdf


Bangladesher Itihash o Bishshoshobbhota http://www.mediafire.com/file/dc62n8h6fci2akb/Bangladesher+Itihash+o+Bisshoshobbhota+%289-10%29.pdf

Bangladesh and Global Studies (English version) http://www.mediafire.com/file/la75h2n5ukytd3n/Bangladesh+%26+Global+Studies+%289-10%29.pdf

Mathematics (Bangla) http://www.mediafire.com/file/u7ab11k1ld3s2w4/Mathematics+%289-10%29.pdf

Mathematics (English) http://www.mediafire.com/file/1a6h2ojbsxhkh0s/Mathematics+%28Nine-Ten%29+%28English+Version%29.pdf

Science http://www.mediafire.com/file/xzo7j1x5ezr4dbf/Science+%289-10%29.pdf

Physics http://www.mediafire.com/file/jfx6xc9tg4xyu47/Physics+%289-10%29.pdf

Chemistry http://www.mediafire.com/file/h9u0trf7czf93v6/Chemistry+%289-10%29.pdf

Biology http://www.mediafire.com/file/igzjyxsy71d05yb/Biology+%289-10%29.pdf

Pouroniti http://www.mediafire.com/file/5j15lxvzs1mx6le/Pouroniti+%289-10%29.pdf

Bhugol o Poribesh http://www.mediafire.com/file/h2qq66bavr2wbae/Bhugol+o+Poribesh+%289-10%29.pdf


BCS Preliminary Ebook


Assurance Digest http://www.mediafire.com/file/lva8ib1s3vqithl/Assurance+Digest.pdf

BCS Written Ebooks


35 BCS Professor Bangla
http://www.mediafire.com/file/q9nyq88jjz7lu28/35+BCS+Professor+Bangla.pdf

35 BCS Professor English

http://www.mediafire.com/file/60gt205f5xh1ux9/35+BCS+Professor+English.pdf

MP3 English Review

http://www.mediafire.com/file/qb4r9fxnvn7cvn0/MP3+English+Review.pdf

35 BCS Professor Bangladesh
http://www.mediafire.com/file/g1k02z8pub47220/35+BCS+Professor+Bangladesh.pdf

35 BCS Professor International Affairs

http://www.mediafire.com/file/13pltz84gntat5q/35+BCS+Professor+International.pdf

35 BCS Oracle Mathematical Reasoning

http://www.mediafire.com/file/rbopvo84e67a4r6/35+BCS+Oracle+Mathematical+Reasoning.pdf

35 BCS Oracle Mental Ability

http://www.mediafire.com/file/y3la2fzuk369cqf/35+BCS+Oracle+Mental+Ability.pdf

35 BCS Professor General Science and Tech.

http://www.mediafire.com/file/hqcfdpngb56k4qo/35+BCS+Professor+General+Science+and+Tech..pdf

Assurance Ethics, Values, Good Governance and Geography

http://www.mediafire.com/file/400n4dobkdmou0i/Assurance+Ethics%2C+Values%2C+Good+Governance+and+Geography.pdf


English Ebooks


The Anatomy of English Sentence

http://www.mediafire.com/file/1y8cbd1z2ssbs69/The+Anatomy+of+English+Sentence.pdf

Effective Writing Skills for Advanced Learners

http://www.mediafire.com/file/k3885tiwvaadwbe/Effective+Writing+Skills+for +Advanced+Learners_2.pdf

Common Mistakes by T J Fitikids

http://www.mediafire.com/file/x7ix1bh7ns8n6l6/Common+Mistake+by+TJ+Fit ikids%28english+to+bangla%29.pdf

A Systematic Approach to Critical Reasoning [Analytical Ability Book I]

http://www.mediafire.com/file/4brua26na2kc8dd/A+Systematic+Approach+to +Critical+Reasoning+%26+Analytical+Ability+Book+I.pdf

English Grammar and Composition by Wren N Martin

http://www.mediafire.com/file/9egp6ybvzr98uv4/English+Grammar+and+Composition+by+WrenN+Martin.pdf

How English Works - A Grammar Practice Book by Michael Swan and Catherine Walter

http://www.mediafire.com/file/k5uu64cac0qo8l7/How+English+Works++A+Grammar+Practice+Book.pdf

English Irregular Verbs by McGRAW HILLS
http://www.mediafire.com/file/6zli2jyu50j39j4/English+Irregular+Verbs+by+McGraw+Hills.pdf

WordMap Version 2.0

http://www.mediafire.com/file/zmvoobo2vc493lk/WordMap-Version-2.0.pdf

Bangla Ebooks


Sheikh Mujib Amar Pita By Sheikh Hasina
http://www.mediafire.com/file/6vqr59m7qo45vm6/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96+%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC+%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0+%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE+-+%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96+%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE.pdf

Shikar By Mohsina Nazila
http://www.mediafire.com/file/mrhkhiy109dsopo/Shikar+by+Mohsina+Nazila

Bangla Bidyar System

http://www.mediafire.com/file/l73dva2ok14nfkb/Bangla+Bidyar+System.pdf

Ashamapto Attojiboni By Sheikh Mujibur Rahman

http://www.mediafire.com/file/7xin4l1grw4qfw1/Ausamapta+Atmajiboni+by+S heikh+Mujibur+Rahman+%5Bamarboi.com%5D%282%29.pdf

Lal Nil Dipaboli By Humayun Azad

http://www.mediafire.com/file/jmx3exni3pbtb10/Lal+Nil+Dipaboli+by+Humay un+Azad.pdf

Kato Nadi Sharobar By Humayun Azad

http://www.mediafire.com/file/l35b447vhide2x6/Kato+Nadi+Sharobar+Ba+Ba ngla+Bhashar+Jiboni++So+Many+Rivers+and+Lakes+or+A+Biography+of+the+Bengali+Language+b y+Humayun+Azad.pdf

Shadhinota Juddher Dolilpotro By Hasan Hafizur Rahman

http://www.mediafire.com/file/qd6w32g9881l99o/Sadhinota+Juddher+Dolilpo tro+-Hasan+Hafijur+Rahman.pdf

Charompatro By M. R. Akhter Mukul

http://www.mediafire.com/file/kwi0e8ygr5gjgl6/Charompatra+by+M.+R.+Akht ar+Mukul.pdf

Ami Bijoy Dekhechi By M. R. Akhter Mukul

http://www.mediafire.com/file/gn8gua78v0eafa1/Ami+Bijoy+Dekhechi.pdf

Amar Dekha Rajnitir Ponchash Bochor By Abul Monsur Ahmod

http://www.mediafire.com/file/qh6y784xyhylsow/Amar_Dekha_Rajnitir_50_B ochor_by_Abul_Monsur_Ahmod.pdf

Chotoder Rajniti Chotoder Orthoniti By Prof. Nihar Kumar Sarker

http://www.mediafire.com/file/v4w0bgw4o4otz2g/Chotoder_Rajniti_Chotoder _Orthoniti.pdf

Madhya Juger Sreshtho Kabita

http://www.mediafire.com/file/qzsgug8y91d298c/Madhyo+Juger+Shrestho+Ko bita.pdf


Computer/ICT Related Ebooks


Easy Computer
http://www.mediafire.com/file/r7nnio2hbltde9b/Easy+Computer.pdf

Computer and Technology
http://www.mediafire.com/file/i7ag043dxave87e/Computer_and_Technology.pdf

Information and Communication Technology (Class XI-XII) By Mujibur Rahman
http://www.mediafire.com/file/nyi7djob10j4s1c/Information+%26+Communication+Technology+by+Mujibur+Rahaman+%5BClass+XI-XII%5D.pdf

Information and Communication Technology (Class XI-XII) By Gobindo Chndro Ray
http://www.mediafire.com/file/asf591ovg6xobmq/Information+and+Communication+Technology-Class+XI-XII+%282013+Edition%29.pdf

Other Ebooks


Principles of International Relations By Md Abdul Halim
http://www.mediafire.com/file/39tlrf78f977rh0/Principles+of+International+R elations_Md_Abdul_Halim.pdf

Antorjatik Shomporko, Shongothon o Pororashtroniti By Shah Md. Abdul Hi
http://www.mediafire.com/file/jslo55akeofx99j/Antorjatik+Shomporko%2C+Shongothon+o+Pororashtroniti+by+Shah+Md.+Abdul+Hi.pdf

A Brief History of Liberation War
http://www.mediafire.com/file/e1u99f8qnl7fwd7/A+Brief+History+of+Liberati on+War.pdf

A Compilation of Collections for 35 BCS Written By Dream-Catcher Mozahid
http://www.mediafire.com/file/o1lc6kop6afk464/A+compilation+of+collections +for+35+written-pdf+by+Dream-catcher+Mozahid.pdf

Economic Review 2015 (Bangla) http://www.mediafire.com/file/mios4p72bc3qbux/Bangladesh+Economic+Revi ew+2015+%28Bangla%29%282%29.pdf

Economic Review 2016 (Bangla) http://www.mediafire.com/file/v3nvv9fp8qeuerr/Bangladesh+Economic+Revie w+2016+%28Bangla%29.pdf

Bangladesh in 2015: Progress and Development
http://www.mediafire.com/file/6rpmugy5m9zdupx/Bangladesh+in+2015-+Progress+and+Development%282%29.pdf

Shortcut Math by Arifur Rahman
http://www.mediafire.com/file/le33km2eet3wouk/Short+Cut+Math+by+Arifur +Rahman.pdf

Phire Dekha 71 by Lokalotok http://www.mediafire.com/file/nttd35b0vr516dj/_________.pdf

Bhugol o Pribesh note (class 9-10) by Samad Azad
https://www.dropbox.com/s/3hw7c0c01f11plg/Bhugol%20o%20Poribesh%20note%20%28%C3%A0%C2%A7%C2%AF%C3%A0%C2%A6%C2%AE-%C3%A0%C2%A7%C2%A7%C3%A0%C2%A7%C2%A6%C3%A0%C2%A6%C2%AE%29%20by%20samad%20azad.pdf?dl=0

BCS Preliminary Subjective Notes by Samad Azad
http://www.mediafire.com/file/6rzby3y03fs683p/BCS_Preliminary_Subjective_Notes_by_Samad_Azad.pdf

Ten Recent Articles for BCS Written by Samad Azad
http://www.mediafire.com/file/56592w9eafx861a/Ten_Recent_Articles_for_Written_By_Samad_Azad_Print_Version_.pdf

A Compilation of Preli Questions of English Literature of last 18 years by Samad Azad
http://www.mediafire.com/file/x7lt8mle2y7mpmh/A+compilation+of+last+18+ years%27+preli+questions+of+English+Literature+by+Samad+Azad.pdf

Noitikota
http://www.mediafire.com/file/80dsg8bdgxzm8d3/Noitikota_3.pdf

Bangla Probad-Probochon
http://www.mediafire.com/file/ck05f146nt9lrfn/bangla_pravada.pdf

GMAT Official Guide 2016
http://www.mediafire.com/file/x9cnchyv79humw9/GMAT+Official+Guide+201 6.pdf

Longman Toefl Complete Course 2001
http://www.mediafire.com/file/ju3qmwyghxna3wo/LONGMAN+TOEFL+COMPLETE+COURSE+2001.pdf

Nova GRE Math Bible
http://www.mediafire.com/file/7w3ehnbdh301f4d/Novas+GRE+Math+Bible.pdf


Bank Related pdf/ebooks


The Pearson Guide to Quantitative Aptitude Test for MBA Entrance Examinations
http://www.mediafire.com/file/g4091a3y25lynxl/The+Pearson+Guide+to+Quantitative+Aptitude+for+MBA+Entrance+Examinations.pdf

The Pearson Guide to MBA Entrance Examinations
http://www.mediafire.com/file/1buqvu6gwsv7uhr/The+Pearson+Guide+to+MB A+Entrance+Examinations.pdf

Summary of BCB 2015
http://www.mediafire.com/file/muktunp101sm0c2/summary_of_2015bcb_group.pdf

Highlights of BCB 2015 http://www.mediafire.com/file/v6g4dme1ejqbv2g/Highlights_Of_BCB.pdf

Comparisons For Bank Viva by Hemal Jamiul Hasan (2015) (BCB Group)
http://www.mediafire.com/file/284vqdkxke4wg2o/Comparisons+For+Bank+VIVA+-Hemal+Jamiul+Hasan+%282015%29+%28BCB+Group%29.pdf

Bank Vocabulary (BCB Group) http://www.mediafire.com/file/fac3at6qaxfs7ib/Bank+Vocabulary+%28BCB+Group%29.pdf

BCB 500 Confusing Words By Hemal Jamiul Hasan
http://www.mediafire.com/file/6s9odlwharkcldt/BCB+500+Confusing+Words+ By+Hemal+Jamiul+Hasan.pdf

BCB High Frequency Exam Vocabulary By Hemal Jamiul Hasan
http://www.mediafire.com/file/922qasbv0w6kx6q/BCB+High+Frequency+Exam+Vocabulary+By+Hemal+Jamiul+Hasan.pdf

Banking, Insurance, BSEC & Budget
http://www.mediafire.com/file/dv9hz3ab638kd6i/Banking%2C+Insurance%2C+BSEC+%26+Budget.pdf

Islamic Glossary and Terminology
http://www.mediafire.com/file/s699b23s5z72d5o/Islamic+Glossary+and+Terminology.pdf

Bank Written Math Collection (BCB Group)
http://www.mediafire.com/file/5euxu1z67ta96m1/Bank+Written+Math+Collection+%28BCB+Group%29.pdf

Bank Math Practice by Hemal Jamiul Hasan (BCB Group)
http://www.mediafire.com/file/r6yu8fxcx9xvvg2/BCB+Math+Practice+-Hemal+Jamiul+Hasan+%282016%29.pdf

Focus Writing By Ajgar Ali et al.
http://www.mediafire.com/file/ulg5afalgfdrd9i/Focus+Writing.pdf



৩৬ লিখিত ২ঃ বাংলা ২য় পত্র by Samad Azad [Admin, BCS: Our Goal [Largest Job group of Bangladesh]]

লিখিত প্রস্তুতি :::: বাংলা ২য় পত্র 

Topic :::: কাল্পনিক সংলাপ ( ১৫ নম্বর ) 


সিলেবাসে উল্লেখকৃত এই বিষয়টির উপর ২ টি কাল্পনিক সংলাপ শেয়ার করলাম :


১. শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কাল্পনিক সংলাপ (দৈনিক সমকাল হতে সংগৃহীত) 
২. গান্ধী ও জিন্নাহর কাল্পনিক সংলাপ
.
=====================
পড়ার ফাকে সংলাপটি একবার পড়লে ক্লান্তি দূর হবেই , ভালো বিনোদন পাবেন। 
আর সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত এই বিষয়টি সম্বন্ধে ধারণাতো হবেই! smile emoticon
=====================
.
---------------------------------
★ শাড়ি বিষয়ক ফরমালিনমুক্ত একটি কাল্পনিক সংলাপ 
---------------------------------
.
শেখ হাসিনা : কী সৌভাগ্য আমার! এই সাতসকালে আপনি? শুভ সকাল, শুভ সকাল!
খালেদা জিয়া : প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। যাচ্ছিলাম এ পথ দিয়েই। ভাবলাম দেখেই যাই আপনাকে। দেশ চালাতে কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে না তো আপনার? হলে শুধু জায়গায় দাঁড়িয়ে আওয়াজ দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে দেখবেন হাজির। চারদিকে বদলোকের তো আর অভাব নেই। খুব টেনশনে থাকি আপনাকে নিয়ে। 
শে. হা. : না না, আপনি শুধু শুধু টেনশন করে শরীর খারাপ করবেন না। এতে আবার প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। আমার কোনো সমস্যা নেই। তার ওপর আপনি যেভাবে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাখেন, তাতে কোনো সমস্যা কাছে ঘেঁষারই চান্স পায় না।
খা. জি. : আমাকে লজ্জা দেবেন না তো আপা। আমি আর আপনার জন্য এমন কী করলাম! ইদানীং দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়ার মতো হু হু করে বাড়ছে বয়সটাও। তার ওপর ছেলেরা যা দুষ্টু হয়েছে না। খুব টেনশনে থাকি। তাই আগের মতো আর আপনার খবর রাখতে পারি না। 
শে. হা. : আপা বোধহয় বয়স বোঝাতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য, গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া এসবের প্রসঙ্গ না তুললেই পারতেন। অভিযোগটা কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধেই যায়। সে যাক, আপনার একটা কথা কিন্তু আমি কিছুতেই মানতে পারছি না আপা। কী এমন বয়স হয়েছে আপনার? এখনও কী সুন্দর সাজুগুজু করেন। দেখলে মনে হয় ভার্সিটিতে পড়েন। বয়স নিয়ে আপনার অকারণেই ভাবনা।
খা. জি. : হুম, আপনাকে বলেছে।
শে. হা. : থাক আপা, বয়স নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। কখন আবার আসল বয়সটা বেরিয়ে যায় বলা যায় না। মেয়েদের আসল বয়স না বলাই ভালো। আপার শাড়িটা কিন্তু সত্যিই খুব চমৎকার। খুব মানিয়েছে। 
খা. জি. : হুম, ককটেল প্রিন্ট থেকে কিনেছি। ইদানীং খুব চলছে। পছন্দ হলে বলবেন, আপনার জন্য কয়েকটা পাঠিয়ে দেব। 
শে. হা. : না না, আমার কাছে বরং মামলা প্রিন্টের শাড়িই আরামদায়ক মনে হয়। 
খা. জি. : আমার আবার মামলা প্রিন্টে কিছুটা অ্যালার্জি আছে। একদম ভাল্লাগে না। অবশ্য ককটেল প্রিন্টের পাশাপাশি ইদানীং হরতাল প্রিন্টের শাড়িগুলোও বেশ ভালো চলছে। কালারটাও দারুণ, বুননটাও বেশ টেকসই। আর পরতেও বেশ আরামদায়ক। আমি তো আজকাল ককটেল আর হরতাল প্রিন্টেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
শে. হা. : আপনার যেমন ককটেল এবং হরতাল প্রিন্টে বিশেষ প্রীতি আছে, আমার আবার এসবে বেশখানিকটা ভীতি আছে। আমার বাপু মামলা প্রিন্টই ভালো।
খা. জি. : তবে যা-ই বলেন আপা, শাড়ি ছিল কেয়ারটেকার প্রিন্ট। শাড়ির রাজা। আমি তো শপিং মলগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে যাচ্ছি। কিন্তু শাড়িটা নাকি মার্কেট আউট। এটা একটা কথা হলো। 
শে. হা. : আপনি জানেন না আপা, শাড়িটা আসলে খুব একটা সুবিধার নয়। শুরুর দিকে তো আমি নিজেই খুব আগ্রহ করে কিনতাম। পরে বুঝেছি খুব খারাপ, খুব খারাপ!
খা. জি. : না আপা, আপনার বোধহয় কোথাও ভুল হচ্ছে। কেয়ারটেকার প্রিন্টের ওপর কোনো শাড়িই হয় না। প্রথম যখন মার্কেটে আসে তখন আমিও পছন্দ করতাম না। পরে বুঝেছি_ একটা খাঁটি জিনিস! আপনি যা-ই বলেন, শাড়ির রাজা কিন্তু কেয়ারটেকার প্রিন্ট!
শে. হা. : কিছু মনে করবেন না আপা, এই জন্য মাঝে মধ্যে আপনার ওপর আমার খুব রাগ হয়। একটা কথা গায়ের জোরে বললে তো হবে না। লজিক থাকতে হবে, লজিক। আপনি যা-ই বলেন, এর চেয়ে দলীয় প্রিন্ট অনেক ভালো। ম্যালা সুবিধাও আছে। 
খা. জি. : কিন্তু আমার তাতে ম্যালা অসুবিধা। আপনি যা-ই বলেন, দরকার হলে দেশের সবক'টা শপিং মল তন্ন তন্ন করে হলেও আমি আবার এই শাড়ি বের করব। হুম!
শে. হা. : আমাকে রাগাবেন না বলে দিচ্ছি। কেয়ারটেকার প্রিন্ট আমার একদম পছন্দ না। ব্যস, এটাই ফাইনাল। আমি কিছুতেই আর এ শাড়ি কোথাও দেখতে চাই না। হুম!
খা. জি. : আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলাই আমার ভুল হয়েছে। আপনি থাকেন, আপনার দলীয় প্রিন্ট নিয়ে। আমি গেলাম কেয়ারটেকার প্রিন্টের খোঁজে। দেখি কে আমাকে আটকায়! 
(By: ইমন চৌধুরী)
উত্স: দৈনিক সমকাল হতে সংগৃহীত 
.
.
---------------------------------
★ গান্ধী ও জিন্নাহর কাল্পনিক সংলাপ 
---------------------------------
.
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ দু'জনেই গুজরাটি ভাষা বলা পরিবারে জন্মগ্রহণে করেছেন, মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেছেন। পরে লন্ডনে আইন পড়তে গেছেন। দু'জনেই ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্ব দু'জনকে দু'জনের পথ ভিন্ন করে দেয়। এই কাল্পনিক সংলাপে গান্ধী ও জিন্নাহ তাদের উত্তরাধিকার, রেখে যাওয়া দেশ নিয়ে কথা বলেছেন। 
জিন্নাহ : আপনার চারপাশের সবকিছু... এই যে সন্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপার... এটি আমাকে কখনও আকর্ষণ করেনি। আসলে এটি আমাদের আলোচনার ক্ষেত্রে এক ধরনের বাধা ছিল।
গান্ধী : আমি কিন্তু কখনও বলিনি যে আমি সন্ত ছিলাম। 
জিন্নাহ : আপনার অনুসারীরা কিন্তু সেভাবেই আপনাকে হাজির করে। 
গান্ধী : আমি অনুসারী চাইনি।
জিন্নাহ : আপনি কি চান আমি তা বিশ্বাস করি?
গান্ধী : আমি চেয়েছিলাম। অনেকের সঙ্গে আমি চলেছি। কেউ কেউ অসাধারণ ছিলেন। এই তো...। আপনার সম্বন্ধে বলেন।
জিন্নাহ : আমার সহকর্মীদের ও আমার একক উদ্দেশ্য ছিল, একক আবেগ ছিল। সেটি পাকিস্তান।
গান্ধী : আমার উদ্দেশ্য ছিল সব ভারতীয়র জন্য স্বরাজ। কিন্তু এর চেয়ে বেশি ছিল হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঐক্য সাধন।
জিন্নাহ : আপনি সব ভারতীয়র জন্য কথা বলেননি।
গান্ধী : আমি তা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ভারতবর্ষকে এক রাখার ব্যাপারে আমার উদ্দেশ্য যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ভারতকে ভাগ করার ব্যাপারে আপনার সফলতাকে কি আপনি জয় হিসেবে দেখেন?
জিন্নাহ : আপনাকে এ নিয়ে বিদ্রূপ করতে হবে না, মি. গান্ধী।
গান্ধী : সম্ভবত আমরা দু'জনেই পরাজিত।
জিন্নাহ : আপনি আপনারটা বলতে পারেন, মি. গান্ধী।
গান্ধী : আমরা দু'জনেই ভুলের খাতায় চলে যাচ্ছি।
জিন্নাহ : আপনার মুখ ভারতের টাকায় রয়েছে।
গান্ধী : কাগজের টাকায় হাসতে থাকা আমার মুখশ্রী দেখতে আমার ঘৃণা হয়, যেখানে আমার অনেক মানুষ এখনও দরিদ্র, অপুষ্টিতে ভুগছে, নিগৃহীত হচ্ছে...। কিন্তু পাকিস্তানের অফিসগুলোর দেয়ালে তো আপনার ছবি টানানো থাকে।
(দু'জনের মধ্যে নীরবতা)
গান্ধী : আমি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারি, কায়েদ-ই আজম?
জিন্নাহ : আপনার এই উপাধি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। আমি এটি বেছে নেইনি।
গান্ধী : মহাত্মার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমি কখনও নিজেকে এমনটা মনে করি না।
জিন্নাহ : আপনি কী জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলেন?
গান্ধী : আমি যেমনটা বলছিলাম, আপনি আপনার চাওয়ামতো পাকিস্তান পেয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি হেরেছি। আমি স্বাধীন ও অবিভক্ত ভারত চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ভারতবর্ষকে ভাঙতে দেখলাম।
জিন্নাহ : আমরা পাকিস্তানের জন্ম দেখেছি।
গান্ধী : এটিকে সুখী দেশ বলে মনে হয় না ...
জিন্নাহ : ভারত সুখী?
গান্ধী : আমি একটি প্রশ্ন করতে চাচ্ছিলাম।
জিন্নাহ : করুন। (ঘড়ির দিকে তাকিয়ে) আমি এর জন্য অপেক্ষা করে আছি।
গান্ধী : তারা আমাকে রাষ্ট্রপিতা বলে। কিন্তু এটি সেই দেশ নয়, যা আমি চেয়েছিলাম। 
জিন্নাহ : দয়া করে প্রশ্নটি?
গান্ধী : আমার সহযোগীরা আমাকে শুনতে চাইত না। তারা ঝগড়া, যুদ্ধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চেয়েছে।
জিন্নাহ : প্রশ্নটি কোথায়, মি. গান্ধী?
গান্ধী : আমি এক ছিলাম। অন্যখানে আপনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। রাষ্ট্রের প্রধান ছিলেন, সাংবিধানিক পরিষদের প্রধান ছিলেন, মুসলিম লীগের প্রধান ছিলেন।
জিন্নাহ : হ্যাঁ।
গান্ধী : এখন আমার প্রশ্ন, আমাকে বলুন, আপনি যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন, প্রতিটি জিনিস, তারপরও কি আপনি সুখী মানুষ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পেরেছেন?
জিন্নাহ : আমার মৃত্যুর সময় আমি খুব যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম।
গান্ধী : তাহলে আমাদের মধ্যে অন্তত দুটি জিনিস এক রকম আছে। আমরা গুজরাটিতে কথা বলি এবং জীবনের শেষ দিনগুলোতে আমরা যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম।
জিন্নাহ : নাগরিক অবাধ্যতা এখন ভারতের জন্য খুব নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে। এক ধরনের উপহাস... 
গান্ধী : আপনার বলা 'ইসলাম বিপদে' কি এখন অপ্রত্যাশিতভাবে ফিরে আসেনি? পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর নয়, প্লিজ ...। আমাদের জন্য নতুন লক্ষ্য রয়েছে, কায়েদ-ই আজম। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের ভূখণ্ডে নিরীহ মানুষেরা আর মারা যাবে না। তা দাঙ্গা, সন্ত্রাস কিংবা যুদ্ধ_ যে কারণেই হোক না কেন। আমাদের অবশ্যই ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে যুদ্ধের বাইরে রাখতে হবে।
জিন্নাহ : কাশ্মীরের ব্যাপারে কী হবে?
গান্ধী : আসুন আমরা শ্রীনগরে দেখা করি। আসুন বিভাজন রেখা স্থানান্তরের চেয়ে মুছে দেওয়ার জন্য বসি। আসুন কাশ্মীরকে পরিবেশ সংরক্ষণের বিশ্ব রাজধানী করে তুলি। 
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী: মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র, পশ্চিম বাংলার সাবেক গভর্নর
(ইন্ডিয়া টুডে থেকে ভাষান্তরিত)
(ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত )

৩৬ লিখিত ২ঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি by Samad Azad [Admin, BCS: Our Goal [Largest Job group of Bangladesh]]

লিখিত প্রস্তুতি :: বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি
সম্ভাব্য প্রশ্ন:
১. স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) কী? স্বল্পোন্নত দেশ কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
২. স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এর সামগ্রিক অবস্থা মূলায়ন করুন।
৩. স্বল্পোন্নত দেশ/ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উঠে আসার জন্য জাতিসংঘের নির্ণায়কগুলো কী কী?
৪. এলডিসি গ্রুপ (LDC Group) কি? এর সদস্য সংখ্যা কত?
৫. বাংলাদেশ সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সমন্বয়ক নির্বাচিত হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে? এলডিসির স্বার্থে বাংলাদেশ আর কী ভূমিকা পালন করতে পারে?
৬. এশিয়ার এলডিসি ও আফ্রিকার এলডিসির স্বার্থের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে? এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কীভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে?
৭. বাংলাদেশের এখনও এলডিসিতে থাকার কারণ কী? বাংলাদেশের এলডিসি থেকে বের হতে কত সময় লাগবে?
৮. বাংলাদেশের এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে-বিপক্ষে কী যুক্তি রয়েছে?
৯. এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন এবং আপনি কি মনে করেন মধ্যম আয়ের দেশ হলেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসবে ?
১০. এলডিসিতে বাংলাদেশের অবস্থান, চ্যালেঞ্জ, করণীয় ও সুপারিশ সম্পর্কে আপনার মতামত পেশ করুন।
.
=====================
সম্পর্কিত বিষয় (Related Topics): সিলেবাসে একাধিকবার উল্লেখকৃত ।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি:
Economy, Foreign Policy and External Relations of Bangladesh (Participation in International Organizations), International Economic Institutions, International Trade.
.
আন্তর্জার্তিক বিষয়াবলি:
Participation in International Organizations, International Economic Institutions, International Economic Relations, International trade, WTO. Bangladesh in International Affairs (Major achievements, challenges, future directions)
Section C : Problem-solving (International Trade issue)
=====================
.
কেন প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে হচ্ছে ??
১. এলডিসি থেকে উত্তরণে কাজ করার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর ‘সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ’ কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ ছাড়া সরকারের আরো ২৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের ওই কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।
.
২. বাংলাদেশ সম্প্রতি পঞ্চমবারের মতো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সমন্বয়ক নির্বাচিত হয়েছে।
=====================
.
---------------------------------
★ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) :
---------------------------------
১৯৭১ সাল থেকে জাতিসংঘ বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে আলাদা তালিকায় রেখেছে। উন্নয়ন-প্রক্রিয়া কার্যত স্থবির, দারিদ্র্যহার কমানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, ঝুঁকির তীব্রতা বিবেচনায় এ তালিকা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদেশি ঋণ ও অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে এ ধরনের দেশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নীতি ও সিদ্ধান্ত রয়েছে জাতিসংঘ, ডাব্লিউটিওসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থায়। এসব দেশ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান আঙ্কটাডের নেতৃত্বে ১৯৮১, ১৯৯০, ২০০১ ও ২০১১ সালে চারটি সম্মেলন হয়েছে। সর্বশেষ ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এলডিসির অভিধা থেকে বের হওয়ার জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় পায় দেশগুলো।
.
বর্তমানে এলডিসিভুক্ত দেশ আছে ৪৮টি। ১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র চারটি দেশ এলডিসি থেকে বের হতে পেরেছে। দেশগুলো হলো বতসোয়ানা, কেপ ভারদে, মালদ্বীপ ও সামোয়া।
.
---------------------------------
★ স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
---------------------------------
তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই স্বল্পোন্নত দেশ নির্ধারণ করা হয়:
১. মাথাপিছু আয়
২. মানবসম্পদ উন্নয়ন
৩. অর্থনীতির ভঙ্গুরতা
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে এই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় এক হাজার ১৯০ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৬৬ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ৩২ হতে হবে।
.
---------------------------------
★ স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) এর সামগ্রিক অবস্থা মূলায়ন :
---------------------------------
বিশ্বব্যাংকের এক হিসাব অনুযায়ী, ৪৮টি এলডিসির মধ্যে বিশ্বের ৮৫ কোটি মানুষের বসবাস। এর মধ্যে অর্ধেকেরই অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নিচে। বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ, পণ্য বাণিজ্যের ১ শতাংশ এবং সেবা বাণিজ্যের মাত্র দশমিক ৫ শতাংশের ভাগীদার এলডিসিভুক্ত দেশগুলো। ডব্লিউটিওর অধীনে বাণিজ্য স্বার্থসম্পর্কিত বাংলাদেশসহ যে ৩৪টি এলডিসি রয়েছে, এদের অবস্থা আরও খারাপ।
.
---------------------------------
★ স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উঠে আসার জন্য জাতিসংঘের নির্ণায়কগুলো কী কী?
---------------------------------
এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উঠে আসার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ৩ টি শর্ত রয়েছে:
.
১ম শর্ত:
তিন বছরের গড় মোট দেশজ আয়ের (জিএনআই) ভিত্তিতে মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১১৯০ ডলার হতে হবে। তবে সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয়ের এ অঙ্ক প্রতিবছরই বাড়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ১০৪৪ ডলার।
.
২য় শর্ত:
হলো-মানবসম্পদের উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নকে মূল্যায়ন করে জাতিসংঘ।
.
৩য় শর্ত:
ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা দূর করা। এটি কৃষি উৎপাদন, পণ্য ও সেবা রপ্তানি, প্রচলিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও জিডিপিতে সম্পূর্ণ পণ্য উৎপাদন ও আধুনিক সেবার অংশীদারিত্ব এবং ছোট অর্থনীতির প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর নির্ভর করবে।
.
---------------------------------
★ অর্থাৎ এলডিসি দেশগুলো মূলত তিন ভাবে এখান থেকে বের হয় :
---------------------------------
প্রথমত, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করে, যেমন করেছে মালদ্বীপসহ দ্বীপরাষ্ট্রগুলো।
দ্বিতীয়ত, অর্থনীতিকে বহুমুখীকরণ করা (যেমন বিভিন্ন ধরনের শিল্প খাতকে সহায়তা দেওয়া, যেন তারাও ভূমিকা রাখতে পারে)।
তৃতীয়ত, অর্থনীতিকে বিশেষায়িত করা (যেমন কোনো ক্ষেত্রে একটি বিশেষ খাতকে ধরে এগিয়ে যাওয়া)।
.
---------------------------------
★ এলডিসি গ্রুপ (LDC Group) কি?
এর সদস্য সংখ্যা কত?
---------------------------------
বর্তমানে ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে ৩৪টি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) এর সদস্য। আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিওতে) এই ৩৪টি দেশের দল বা গ্রুপটিকেই "এলডিসি গ্রুপ" বলে।
.
বাংলাদেশের বিশ্ব বাণিজ্যে নিজেদের হিস্যা আদায়ের কৌশল নির্ধারণে ১৯৯৫ সালে ডব্লিউটিওর যাত্রা শুরুর পরপরই গঠিত হয় এ দল। ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে ডব্লিউটিওর সদস্য ৩৪টি দেশই হলো এলডিসি গ্রুপের সদস্য। উল্লেখ্য যে, আরও ৮টি দেশ ডব্লিউটিওর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
.
---------------------------------
★ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সমন্বয়ক বাংলাদেশ :
---------------------------------
বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সমন্বয়ক মনোনীত হয়েছে। সম্প্রতি এলডিসি গ্রুপের এক সভায় বাংলাদেশকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ছয় মাস বাংলাদেশ এ দায়িত্ব পালন করবে। তবে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়তে পারে। এর আগে বাংলাদেশ ১৯৯৬, ২০০৩, ২০০৬ এবং ২০১০ সালেও এলডিসির সমন্বয়ক ছিল। সমন্বয়ক ছাড়াও এলডিসিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সব সময়ই নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
.
ডব্লিউটিওতে এলডিসির সমন্বয়ক নির্বাচিত হয় যদিও দেশের নামের আদ্যক্ষরের ক্রম অনুযায়ী (অ্যালফাবেটিক্যালি), তবে সব এলডিসিরই ৩৪টি দেশের সমন্বয়ক হওয়ার সক্ষমতা নেই। ডব্লিউটিওতে ১২টি স্বল্পোন্নত দেশের কোনো অফিসই নেই। জেনেভাতে বাংলাদেশের যেমন একটি স্থায়ী মিশন রয়েছে, দেশেও রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ডব্লিউটিও সেল। মোটকথা, এলডিসির মধ্যে বাংলাদেশের একটা শক্ত অবস্থান রয়েছে। তা ছাড়া শুরু থেকেই বাংলাদেশ ডব্লিউটিওকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে ১২২টি সদস্য নিয়ে সংস্থাটি যখন গঠিত হয়, তখন থেকেই বাংলাদেশ সদস্য। বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার মধ্যে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সীমিত সাধ্যের মধ্যেও চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
.
---------------------------------
★ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) এলডিসির সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে?
---------------------------------
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) এলডিসি গ্রুপের সমন্বয়ক হওয়ার বড় লাভ হচ্ছে উন্নত দেশগুলোর কাছে এলডিসির দাবি ও অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ স্বল্পোন্নত ৪৮ দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো বাংলাদেশর ।
.
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,
‘উন্নত দেশগুলোতে এলডিসির শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য রপ্তানির দাবিতে বাংলাদেশ সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ। আবারও সময়ন্বক হওয়ায় এ দায়িত্ব আরও বাড়ল।’
.
এলডিসির উন্নয়নে ডব্লিউটিওতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক (গ্রিনরুম মিটিং) অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যেগুলোতে শুধু সমন্বয়ক দেশের প্রতিনিধিই উপস্থিত থাকতে পারে। বাংলাদেশের স্বার্থের বাইরে চলে যেতে পারে—এ রকম কোনো বিষয় কোনো বৈঠকে উপস্থাপিত হলে, বাংলাদেশ তখন তা নিয়ে কথা বলতে পারবে। শুধু শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য রপ্তানি নয়, সেবা খাতে বাজার পেতেও নিজেদের অধিকার, সুযোগ ও স্বার্থের বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও সক্ষমতার কারণে এলডিসির অনেক সদস্যই আমাদের ঈর্ষার চোখে দেখে।
.
---------------------------------
★ এলডিসির স্বার্থে বাংলাদেশ আর কী ভূমিকা পালন করতে পারে?
---------------------------------
উন্নত দেশগুলো তাদের জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সহায়তা (এইড) হিসেবে দরিদ্র দেশগুলোকে দেওয়ার কথা। জাতিসংঘের কাছে তাদের স্বীকারোক্তি ছিল। অনেক দিন থেকেই আমরা বলছি, এ থেকে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ যাতে এলডিসিগুলো পায়। নরওয়েসহ কোনো কোনো দেশ অবশ্য তা মানছে। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ তার কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করতে পারে।
.
---------------------------------
★ এশিয়ার এলডিসি ও আফ্রিকার এলডিসির স্বার্থের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে?
---------------------------------
সমন্বিত অধিকার আদায়ের ব্যাপারে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দর-কষাকষি চললেও এশিয়ার এলডিসি ও আফ্রিকার এলডিসিগুলোর মধ্যে সব সময়ই একটা প্রতিযোগিতা বা মতবিরোধ থাকে। মহাদেশভেদে স্বার্থের বিষয়গুলো ভিন্ন বলেই এ প্রতিযোগিতা। এশিয়ার এলডিসির প্রধান স্বার্থের জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারসহ তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধি।আর আফ্রিকার এলডিসির প্রধান স্বার্থ হলো কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে নিরঙ্কুশ ও শর্তমুক্ত প্রবেশাধিকার।
.
---------------------------------
★ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কীভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে?
---------------------------------
বাংলাদেশের ওপর সব এলডিসির একধরনের আস্থা রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে—আমাদের রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বাণিজ্যের অংশ। বাংলাদেশকে এসব দিক থেকে অন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলো যথেষ্টই সমীহ করে। উন্নত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের প্রধান চাওয়া হচ্ছে পণ্য বাণিজ্যে বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার। আর আফ্রিকার এলডিসির অন্যতম চাওয়া হচ্ছে কৃষি। বাংলাদেশের প্রতি সবার এ রকম একটি আস্থা রয়েছে যে বাংলাদেশ দুইয়ের মধ্যে একটি সুষম ভাব নিয়ে আসতে সক্ষম। আর আফ্রিকার এলডিসিদের আমরা বলতে পারি যে আমাদের শিল্পে তোমরা সমর্থন দাও, তোমাদের কৃষিতেও আমরা তা দেব।
.
এলডিসির জন্য একটা বড় সম্ভাবনা হচ্ছে সেবা খাতের বাণিজ্যে ছাড় (সার্ভিস ওয়েভার)। অর্থাৎ এলডিসি থেকে উন্নত দেশগুলোতে বেশি হারে ও শিথিল শর্তে সেবা খাতের বাজার উন্মুক্ত হওয়া। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে উন্নত দেশগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রতিবন্ধকতার কথা ডব্লিউটিওকে জানাবে। একটা হিসাবে এসেছে, উন্নত দেশগুলো তাদের ৩ শতাংশ শ্রমবাজার উন্মুক্ত করলে এলডিসির জন্য ১৫ হাজার কোটি ডলারের বাজারের সুযোগ তৈরি হয়।
.
সেবা খাতের বাণিজ্যে ছাড় উন্নত দেশগুলো ১, ২ বা ৫ বছর পরেও যদি দেয়, সেই সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বাজার উন্মুক্ত হলেই যাতে সুযোগটি নেওয়া যায়। এ ব্যাপারে গবেষণারও দরকার রয়েছে। কয়েকটি খাতকে অবশ্য এর মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আমাদের সবার আগে নজর দিতে হবে নার্সিং ও দক্ষ জনশক্তি—এ দুই খাতে। এর মধ্যে সনদটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেল, একজন নার্সিং পাস করলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর সনদ উন্নত দেশগুলো গ্রহণ করল না। সে জন্য এখন থেকেই সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে এগোতে হবে, যাতে শিক্ষার মানটা ভালো হয়, উন্নত দেশের কাছাকাছি হয়।
.
---------------------------------
★ বাংলাদেশের এখনও এলডিসিতে থাকার কারণ কী?
---------------------------------
বাংলাদেশের এখনও এলডিসিতে থাকার বড় একটি কারণ হলো বিপুল জনসংখ্যা। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে মাথাপিছু আয় এখন ১০৪৪ ডলার। আয়তন বিবেচনায় জনসংখ্যা পাঁচ কোটি হলে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেত। একই সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনেক অগ্রগতি হতো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এলডিসি অভিধা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
.
---------------------------------
★ বাংলাদেশের এলডিসি থেকে বের হতে কত সময় লাগবে?
---------------------------------
এলডিসি থেকে বের হয়ে আসতে হলে তিনটি সূচকেই উন্নয়ন করতে হয়। এর মধ্যে টানা তিন বছরের মাথাপিছু গড় আয়ের পরিমাণ হতে হবে ৯৯২ মার্কিন ডলার। উচ্চ পর্যায়ে তা হতে হবে ১ হাজার ২৪২ ডলার। এভাবে পরপর দুই মেয়াদে অর্থাৎ ৬ বছর পর্যন্ত এই সক্ষমতা অর্জন করতে হয়। এরপর এক মেয়াদ অর্র্থাৎ ৩ বছর গ্রেস পিরিয়ড ধরা হয়। সবমিলিয়ে সক্ষমতা অর্জনের ৯ বছর পর কোনো দেশকে এলডিসি থেকে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১১৯০ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৪ দশমিক ৭ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ দশমিক ৪। খুব দ্রুতগতিতে আগালেও ২০২৫ সালের আগে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ২৬ বছরে এলডিসি থেকে বের হয়ে এসেছে।
.
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) :
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে আগামী এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশের বের হওয়া সম্ভব নয়। আগামীকালও যদি বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার শর্ত পূরণ করে, তাহলেও ছয় বছরের আগে এখান থেকে বের হতে পারবে না। কারণ তিন বছর করে ছয় বছর বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এলডিসি দেশগুলোর অবস্থা তিন বছর পর পর মূল্যায়ন করা হয়। পরবর্তী মূল্যায়ন হবে ২০১৫ সালে। ওই বছরের তালিকায় বাংলাদেশ বিবেচনায় নেই। এর পরের তালিকায় (২০১৮ সাল) যদি থাকে, তাহলেও অন্তত এক দশকের আগে এলডিসি থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ।“
.
আংকটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী,
২০১৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১১৯০ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৫৪ দশমিক ৭ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ৩২ দশমিক ৪। প্রসঙ্গত, অন্য দুই সূচক বাড়লে তা ভালো। অন্যদিকে অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক কমলে তা ওই দেশের জন্য ভালো। আবার ২০১৫ সালে যে মূল্যায়ন হবে, তাতে এলডিসি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাঙ্গোলা ও কিরিবাতিকে সম্ভাব্য দেশ মনে করা হচ্ছে।
.
আংকটাডের এলডিসি প্রতিবেদনটি বলছে,
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ২ শতাংশ আসে কৃষি খাত থেকে। উৎপাদনশীল খাত থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেবা খাত থেকে আসে ৩২ শতাংশ। অথচ দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশই হয়েছে কৃষি খাতে। আর শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। কৃষি খাতে নিয়োজিতদের আয় যেমন কম, তেমনি উৎপাদনশীলতাও কম। এ খাত থেকে যত বেশি লোককে উৎপাদনশীল খাতে নেওয়া যাবে, তাদের উৎপাদন ও আয় তত বাড়বে।
.
---------------------------------
★ বাংলাদেশের এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার বিপক্ষে যুক্তি :
---------------------------------
এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ যেসব সুবিধা হারাবে তা হলো :
১. জিএসপি সুবিধা হারানোর আশঙ্কা :
বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা-জিএসপি পেয়ে থাকে।এলডিসি পরিচয় ঘুচে গেলে জিএসপি সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক সুযোগই হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
.
২. শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার-সুবিধা হারানোর আশঙ্কা :
ডব্লিউটিওর আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শতভাগ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার-সুবিধা দিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ কয়েকটি এলডিসিকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়নি। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার-সুবিধা হারাবে।
.
৩. বাংলাদেশের রপ্তানি কমবে :
ডব্লিউটিওর আওতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ কোনো রকম শুল্ক ছাড়াই নিজেদের পণ্য রপ্তানি করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে বাংলাদেশও এ ধরনের সুবিধা ভোগ করছে। উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে এসব সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এতে ওই সব দেশের আমদানিকারকদের বাড়তি শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য কিনতে হবে। ফলে দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বাড়বে। এতে ওই সব দেশে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমবে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিও কমবে।
.
৪. ঋণের সুদের হার বাড়বে :
এলডিসির সদস্যগুলো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কম সুদে ঋণও পায়। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বাণিজ্যিক সুদের হারে ঋণ নিতে হবে। কিন্তু এখনই অনেক ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক হারে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। আর কম সুদের ঋণ এলডিসি হিসেবে দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে। এখন আমরা যদি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হই, তাহলেও কিন্তু সুদের হার বেড়ে যাবে।
.
তাই অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত না করে উন্নয়নশীল দেশের পরিচিতি অর্জন করলে বাংলাদেশের লোকসান অনেক। তবে উন্নয়নের মাধ্যমে অগ্রগতি সাধন করার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে তখন এসব সুবিধা না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এখনো সে অবস্থায় যায়নি।
.
---------------------------------
★ বাংলাদেশের এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে যুক্তি :
---------------------------------
এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা পায়। তবে বিশ্বব্যাপী এখন শুল্ক কমছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মাধ্যমে যেমন শুল্ক কমানো হয়, তেমনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার শুল্কহার কমে যাচ্ছে। তাই অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা এমনিতেই দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও কমে যাবে। কিন্তু বাজারসুবিধা হারানোর ভয়ে এলডিসি হয়েই থাকা সুবিবেচিত নয়।
.
এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে হয়তো বাংলাদেশের কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। তবে সুযোগ-সুবিধার আশায় চিরদিন তো আর গরিব হয়ে থাকা যায় না। এলডিসি অভিধা থেকে উত্তরণ ঘটলেই যে জিএসপি সুবিধা থাকবে না, এমনটি নয়। কারণ, অনেক উন্নয়নশীল দেশও রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সুবিধা ভোগ করছে।
.
এলডিসি হওয়ার কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামহানি হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে সুনামের পাশাপাশি বিনিয়োগ, বাণিজ্যে নতুন কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিদেশিদের আস্থা বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসবে, ততই মঙ্গল। কারণ, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন আগে থেকেই আমাদের সামনে রয়েছে।
.
---------------------------------
★ মধ্যম আয়ের দেশ হলেই কী এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ :
---------------------------------
দুনিয়ার কাছে গরিব বা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) পরিচয়ে আর থাকতে চায় না বাংলাদেশ। গরিব দেশগুলো নিয়ে করা জাতিসংঘের এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে ‘উন্নয়নশীল দেশ’-এর খেতাব পেতে তৎপর ঢাকা। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসব দেশের অনেক পেছনে বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে আর্থ-সামাজিক খাতে উন্নতি করে শর্ত পূরণের মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছতে পারলে তা বড় সফলতা হবে।
.
মধ্যম আয়ের দেশ হলে এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ এই ধারণাটি সঠিক নয়। মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুধু একটি দেশের আয় বাড়ে, কিন্তু অন্যান্য সূচকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ অবস্থায় অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া যদি আয় বাড়ানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো মানুষের আয় বাড়বে, কিন্তু অর্থনীতির বড় সমস্যাগুলো কাটবে না।
.
সাম্প্রতিক সময়ে মাথাপিছু আয় কিছু বাড়লেও জিডিপি বাড়েনি। কারণ হল রেমিটেন্সের কারণে জাতীয় আয় বেড়েছে। এছাড়া মাথাপিছু আয় হিসাব করা হয় ডলারে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল। আর ডলারের মূল্য বাড়লে মাথাপিছু আয় কমবে।
.
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে এলডিসি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব নয়। কারণ বিশাল জনসংখ্যা। ফলে গড় আয় বাড়লেও সবার আয় বাড়ে না। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এবং মানবসম্পদ সূচকে আগাতে হবে।
এলডিসিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ :
.
জাতিসংঘের মাপকাঠি অনুযায়ী, বিশ্বের অন্য ৪৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও রয়েছে এলডিসির তালিকায়। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা কিছুটা ভালো। শীর্ষ কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে দেশটি। এমডিজি অর্জনে এগিয়ে বাংলাদেশ। এছাড়া রফতানি এবং রেমিটেন্সে আয়ের অগ্রগতি হয়েছে। তবে দুষ্টচক্রে এখনও রয়েছে বাংলাদেশ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা দৃশ্যমান। বিশেষ করে কর্মসংস্থান এবং আয় সৃষ্টিতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
.
প্রথমত, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান। যতটুকু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তা অপ্রাতিষ্ঠানিক। উন্নত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। প্রতি বছর ২৫ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে আসছে। ২০১২ সালে মোট জনসংখ্যার ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ কৃষি খাতে, ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিল্পে এবং ৩২ শতাংশ ছিল সেবা খাতে। কিন্তু জিডিপিতে অবদানের দিক থেকে একেবারে উল্টো। মোট জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান ৫১ শতাংশ, শিল্পের ৩১ এবং কৃষি খাতে ১৭ শতাংশের কিছুটা বেশি। এর অর্থ হল প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ওই অনুপাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
.
দ্বিতীয়ত, দেশের রফতানি আয় বাড়লেও তা গার্মেন্ট খাতের ওপর নির্ভরশীল। ফলে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে কোনো ধরনের ভঙ্গুরতা নেমে এলে এ খাতে বিপর্যয় হতে পারে।
.
তৃতীয়ত, আমাদের মজুরি এবং উৎপাদনশীলতা কম। ফলে সামষ্টিকভাবে আয় বাড়লেও তার বণ্টন সঠিকভাবে হয় না। এছাড়াও পুঁজির জোগানে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ঋণখেলাপি এবং বিভিন্ন স্ক্যামের কারণে পুঁজি সহজলভ্য নেই। প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করে বিশ্বের কিছু দেশের আয় বেড়েছে। কিন্তু তাদেরও আর্থিক কাঠামোতে পরিবর্তন আসেনি।
.
---------------------------------
★ আমাদের করণীয় কী?
---------------------------------
শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব সংগ্রহ—সবদিক থেকেই বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব বাণিজ্যে নিজেদের অংশগ্রহণ ও হিস্যা বাড়াতে বাণিজ্যবিষয়ক জ্ঞান আহরণে এখন পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে (কারিকুলাম) বাণিজ্য, বাণিজ্য আইন ততটা গুরুত্বের সঙ্গে পড়ানো হয় না। বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) নামে একটি সংস্থা রয়েছে, সেটিও অবহেলিত। বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার দরকার।
.
জনসংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে এলডিসি থেকে বের হওয়া বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন। সে ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ভালো করা সহজ।
.
দেশের অর্থনীতিকে ভালো করতে না পারলে মানুষের সুশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যাবে না। আবার সুশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা না গেলে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। এটা একধরনের দুষ্টচক্র। সে কারণে অর্থনীতির স্বার্থেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
.
---------------------------------
★ সুপারিশ :
---------------------------------
অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন করা ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর টেকসই উন্নয়নের জন্য লক্ষ্যের সঙ্গে নীতির সমন্বয় জরুরি। এক্ষেত্রে কার্যকর শিল্প, বাণিজ্য, রাজস্ব এবং মুদ্রানীতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
.
টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যে কোনোভাবে হোক উদ্যোক্তাদের মূলধনের জোগান দিতে হবে। সরকারি ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্র“তি রক্ষা, আর্থিক খাতের সংস্কার, সুশাসন নিশ্চিত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
.
---------------------------------
★ LDC s (Least developed countries)
---------------------------------
According to the United Nations,
A least developed country (LDC) is a country that, exhibits the lowest indicators of socioeconomic development, with the lowest Human Development Index ratings of all countries in the world.
.
“A country that is considered lacking in terms of its economy, infrastructure and industrial base. The population of a lesser-developed country often has a relatively low standard of living, due to low incomes and abundant poverty. A lesser-developed country is usually poor, as measured by per capita gross domestic product, and un-modernized. LDCs rely primarily on agriculture as a source of income and industrial practices usually contribute to less than 10% of the nation's GDP.” (Ref: INVESTOPEDIA)
.
The concept of LDCs originated in the late 1960s and the first group of LDCs was listed by the UN in its resolution 2768 (XXVI) of 18 November 1971. A country is classified as a Least Developed Country if it meets three criteria:
.
===================